Thursday 25 June 2015

বইপোকার নেওয়া বিনোদ ঘোষালের সাক্ষাত্কার :~

একটি নতুন বিষয়ের অবতারণা করতে চেষ্টা করলাম, যদি সকলের মনোগ্রাহী হয়ে ওঠে তাহলে ভবিষ্যতে এরকম সাক্ষাত্কার আরও তুলে আনার চেষ্টা করব। একটু সারপ্রাইজ দেবার জন্যেই আগে এ নিয়ে কিছু বলিনি বা অ্যাডমিনদের সাথেও আলোচনা করিনি (অরিন্দমদার সাথে অবশ্য কথা হয়েছিল)। কারো স্তাবকতা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, সঠিকভাবে পাঠকের সাথে লেখক/ লেখিকার পরিচয় ঘটানোই আমাদের লক্ষ্য। 

আজকের অতিথি নবীন সাহিত্যিক বিনোদ ঘোষাল


বইপোকাঃ নমস্কার বিনোদদা, প্রথমেই বইপোকার তরফে আপনাকে স্বাগতম জানাই।
বিনোদ ঘোষালঃ আপনাকে এবং বইপোকার সকল সদস্যকে আমার নমস্কার।
বইপোকাঃ আপনাকে অনেক অভিনন্দন জানাই ‘প্রাণের পরে’ উপন্যাসটির জন্য। আনন্দবাজার পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যায় লিখতে পারার একটা আলাদা ঐতিহ্য থাকেই। আপনি কি বলবেন?
বিনোদ ঘোষালঃ হ্যাঁ কথাটা অবশ্যই খাঁটি সত্যি কথা। আনন্দবাজার পত্রিকার একটি সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। প্রচারের দিক থেকেও এই পত্রিকা অন্যান্যদের থেকে এগিয়ে। সুতরাং একজন তরুন লেখক হিসেবে ঐ পত্রিকায় লেখার সুযোগ পাওয়াটা একটা বড় প্রাপ্তি সন্দেহ নেই। আমি বৃহত্তর পাঠকের কাছে পৌঁছতে পেরেছি এই পত্রিকার মাধ্যমে।
বইপোকাঃ আচ্ছা এই যে ‘প্রাণের পরে’ উপন্যাসের পটভূমি, এতো একেবারে এই সময়ের বলা যায়। মানে আমরা ফেসবুকে মগ্ন থাকি, সেখানে সম্পর্ক ভাঙে গড়ে; আমাদের সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ যারা পরস্পরের সাথে নানা বিষয়ে তর্কে যুযুধান হয় কিন্তু তারাই আবার কারো নিন্দা করার জন্যে মুহূর্তের মধ্যে এক হয়ে যায়, এসব তো খুব দৈনন্দিন ঘটনা। আপনি যখন এরকম বিষয়বস্তু নিয়ে লিখবেন ভাবলেন এটা কি ভেবেছিলেন যে সস্তার বিষয় না হয়ে যায়?
বিনোদ ঘোষালঃ সোসাল সাইট আসবার পর আমাদের জীবন এখন অনেকটাই ভারচুয়াল। আমি এই প্রজন্মের লেখক। সুতরাং আমাকে এই সময়ের কথা কিছু লিখতে গেলে অবধারিতভাবে মোবাইলফোন কিংবা ফেসবুকের কাছে কখনও আসতেই হবে, তাকে অগ্রাহ্য করতে পারি না। এখন ফেসবুক খারাপ না ভালো সেই বিতর্ক অন্য, কিন্তু বিষয়টি এই মুহূর্তে অমোঘ সেটাই বড় কথা। আর দৈনন্দিন ঘটনা নিয়ে লেখার কথা বলতে গেলে বলতে পারি যে কোনও সাহিত্যই আসলে কোনও জীবনের রোজনামচাই বটে। এবার তাকে আমি কীভাবে দেখলাম বা তাকে কীভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিলাম সেটাই দেখার। ঢোঁড়াই চরিত মানসে কিন্তু সতীনাথ ঢোঁড়াইয়ের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ঘোটে যাওয়া কথাকেই বলেছেন, কিন্তু তা এমনই অসামান্য হয়ে উঠেছে যা আজও আমাদের মুগ্ধ করে। আসলে কোনও শিল্পই তো আকাশ থেকে আচমকা পড়ে না, শিল্পীকে তার পারিপার্শ্বিক দৈনন্দিন জীবন থেকেই শিল্পের রসদ খুঁজে নিতে হয়। এর মধ্যেই মণিমক্তো ছড়ানো রয়েছে। এবার যে যতবেশি সেইগুলি তুলে আনতে পারেন সেগুলিই সেরা কাজ হয়। তাই সস্তা বা দামিটা বিচার হয় অন্যভাবে। শিল্পী বা লেখকের দেখার-প্রকাশের গুনে।
বইপোকাঃ নতুন জেনারেশনের অনেকে বলছে আপনার সৃষ্টি চরিত্রে নাকি নিজেদের খুঁজে পাচ্ছে!
বিনোদ ঘোষালঃ আমি আমার লেখায় সেটাই চেষ্টা করি। আর আমার পাঠকরা যদি সত্যিই নিজেকে খুঁজে পান তা আমার কাছে অবশ্যই আনন্দের।
বইপোকাঃ এই উপন্যাসে নূপুর একটি ভারী অদ্ভুত চরিত্র, যে বয়সে বেশ ছোট একটি ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছে, শারীরিক চাহিদার টানেও বটে। এধরনের মেয়েদের বিদেশে Cougar বলে, কিন্তু এদেশে এই চল কম। এই সাহসী ঘটনা তুলে আনার প্রেক্ষাপট?
বিনোদ ঘোষালঃ নূপুর চরিত্র আন্তর্জাতিক। সারা পৃথিবীতেই এমন রয়েছে। আমাদের পাড়াতে এমনকি আপনাদের পাড়াতেও রয়েছে নিশ্চয়ই। এমনকি সে হয়তো আমাদের অতি পরিচিত কিংবা পরম আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেও কেউ হতে পারেন। এটা সত্যি। আর একজন লেখকের কাজ হল সত্যি কথা বলা। আর সত্যি কথা বলতে সাহস তো অবশ্যই লাগে। আমার সাহস দেখানোর জায়গা লেখা। তাই দেখাই।
বইপোকাঃ একদম পাঠকের মনের কিছু প্রশ্ন করতে পারি কি?
বিনোদ ঘোষালঃ নিশ্চিন্তে।
বইপোকাঃ আপনার লেখা কি পেশা? নাকি অন্য কোনও পেশায় আপনি যুক্ত?
বিনোদ ঘোষালঃ এই গত পরশু দিনেও আকাশবাণী থেকে আমাকে একটি সাক্ষাত্কারে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তরুন প্রজন্মের যদি কেউ লেখাকে পেশা করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আপনি কী বলবেন? আমি বলেছিলাম, বাংলা ভাষায় লেখাকে পেশা করতে গেলে আজও অন্তত সাড়ে আঠেরোবার ভেবে নেওয়া দরকার যে আমি অনিশ্চিতকালের জন্য হাফপেট খেয়ে চুড়ান্ত আর্থিক অনিশ্চিয়তা নিয়ে লড়াই করে যেতে পারব কি না। যদি মনে হয় পারব তাহলেই লেখাকে পেশা হিসেবে ভাবা যেতে পারে। অন্যথায় এটিকে মূল্পেশার পাশাপাশি রাখাই ভাল। সমারসেট মম বলেছিলেন, হয় আপনি হোল টাইম লেখক, কিংবা আপনি লেখকই নন’। কিন্তু আমাদের বাংলায় আজও ভালো অনুবাদক নেই। পাঠকের পাঠ অভ্যাস আগের থেকে কমেছে। সুতরাং একজন লেখকের লড়াইটা কিন্তু ভয়ংকর। আমি একজন কমার্স গ্র্যাজুয়েট।দীর্ঘ দশ বছর এ্যাকাউন্টসে চাকরি করেছি। তারপর যখন বুঝেছি যে আমার দ্বারা একজন ভালো এ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়া এই জীবনে সম্ভব নয় তখন ছেড়ে দিয়ে একটি সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় বিভাগে যোগদান করি। এখন আমাদের কাগজের জন্যও লিখি, নিজের লেখাও লিখি।
বইপোকাঃ ‘প্রাণের পরে’ কি আপনার প্রথম উপন্যাস?
বিনোদ ঘোষালঃ না, আমার প্রথম উপন্যাস মাঝরাস্তায় কয়েকজন। সেটা ২০০৬সালে লিখেছিলাম।
বইপোকাঃ জুন মাসের ‘শিলাদিত্য’ পত্রিকায় আপনার একটি ছোট গল্প ছাপা হয়। ‘শ্মশান, দিদি আর একটি বেশ্যা’। এটি পড়ে কেউ কেউ বলেছেন দুর্দান্ত, কেউ বলছেন সন্দীপনের পরে এত স্পষ্ট ভাবে সমাজের কথা তুলে ধরার মত কাউকে লিখতে দেখা যাচ্ছে, অনেকে ভাইয়ের চরিত্রকে ঘৃণা করেছেন মন থেকে। এরকম একটি দুঃসাহসী সাইকোপ্যাথকে নিয়ে এলেন কীভাবে?
বিনোদ ঘোষালঃ আজ থেকে বছর দশেক আগে আমি যখন লেখালেখি শুরু করি তখন আমি মোটেও সচেতন ছিলাম না যে আমি কেন লিখছি আর কী লিখতে চাই। এত বছর ধরে ঘসতে ঘসতে এখন নিজের কাছে মোটামুটি একটা দর্শন তৈরি হয়েছে।অনেকে বলেন যে আমি অন্ধকারের গল্প লিখি। আমার লেখায় আলো নেই, শুধুই কালো। সত্যি বলতে আমি এই কথাকে অস্বীকার করি না। আমি কালো গল্পই বেশি লিখি। ইংরিজিতে যাকে ব্ল্যাক স্টোরি বলে। আমাদের বাংলাতেও জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী, মতি নন্দী থেকে শুরু করে সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় এবং এই সময়ের নবারুন ভট্টাচার্য অসংখ্য এই ধরণের গল্প উপন্যাস লিখেছেন। এবং আমি একবাক্যে তাদের লেখার দ্বারা অনুপ্রানীত। সব লেখক নরম নরম আলো দেখালে কালোগুলো কে দেখাবে? ঘরে আলো জ্বালানোর জন্য যেমন ইলেক্ট্রিশিয়ান লাগে তেমনি বাড়ির পিছনে সেফটি ট্যাঙ্কে জমে ওঠা পাঁকগুলোকে সরানোরও তো লোক প্রয়োজন হয়। শিলাদিত্য পত্রিকার গল্পটি তেমনই এক অন্ধকারের গল্প। সত্যি বলছি এই লেখাটা লেখার সময়ে আমি এককটা মহূর্তে হাউ হাউ করে কেঁদেছি। এত নির্মমতা আমি নিজেও সহ্য করতে পারিনি। কিন্তু থামতেও পারিনি। একটা ঘোরের মধ্যে একটানা লিখে শেষ করেছিলাম। ভেবেছিলাম গল্পটা প্রকাশ পেলে আমার পাঠকেরা ঘৃনায় নাক কুঁচকে ফেলবে। আমাকে তুমুল গালাগাল করবে। কিন্তু অবাক হয়ে গেলাম এই গল্পটার জন্য আমি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঠকদের তুমুল প্রশংসা পেয়েছি এবং আজও পাচ্ছি। এই গল্পের মুগ্ধপাঠকের মধ্যে যেমন বর্ষীয়ান নাট্যকার চন্দন সেন রয়েছেন তেমনই অগনিত তরুন প্রজন্মের পাঠকও রয়েছে। আমি শিলাদিত্য পত্রিকাকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাবো এই গল্পটি প্রকাশের সাহস দেখানোর জন্য। আরও একটা কথা বাংলায় সিরিয়াস পাঠকের সংখ্যা বিন্দুমাত্র কমেনি তার প্রমাণ পেয়েছি আমি এই গল্পের প্রতিক্রিয়া থেকে। খুব উত্সাহ পেয়েছি।
বইপোকাঃ আপনি কি জানেন আপনার ছোট গল্প আর গল্প পড়েই অনেক ফ্যান হয়ে গেছে আপনার লেখার?
বিনোদ ঘোষালঃ ২০১১ সালে আমার প্রথম গল্প গ্রন্থ ডানাওয়ালা মানুষ সাহিত্য একাদেমি যুব পুরস্কার পায়। বাংলায় ওই বইটিই প্রথম ওই পুরস্কার পেয়েছিল। এবং ২০১৪ সালে আমার দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ নতুন গল্প ২৫ পশ্চিমবঙ্গ একাদেমির সোমেন চন্দ স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছে। দুটো পুরস্কারের উল্লেখ আগ বাড়িয়ে এই কারনে করলাম যে পাঠক আমার ছোটগল্পকে ভালোবাসছে, পছন্দ করছে। একজন লেখকের কাছে এর থেকে আনন্দের আর কীই বা হতে পারে।
বইপোকাঃ অনেক নতুন লেখক মিডিয়া হাউসের ভারে নিজের লেখার ধার না থাকা সত্ত্বেও নাম কিনছেন। আপনি কি এই মন্ত্রে বিশ্বাস করেন?
বিনোদ ঘোষালঃ একজন দার্শনিক, আমার এই মহূর্তে তাঁর নামটা মনে পড়ছে না, বলেছিলেন- একবিংশ শতাব্দিতে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই অন্তত কয়েক মিনিটের জন্য সেলেব হয়ে উঠবেন মিডিয়ার দৌলতে। কথার আইডিয়াটা কিন্তু খুব ভুল নয়। তবে কয়েক মিনিটের জন্য সেলেব হয়ে ওঠাটা কোনও কাজের কাজ নয়, অন্তত শিল্পের জন্য তো নয়ই। জনপ্রিয়তা কখনই শিল্পের একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না। মিডিয়া সকলকেই ঘুরে ফিরে হাইপ দেয়। এটা তার কাজ। এবার যার কোয়ালিটি রয়েছে তিনি টিকে যান বাকিরা হারিয়ে যায়।
বইপোকাঃ ‘প্রাণের পরে’ উপন্যাসে আপনি নানা জায়গায় নানা বইয়ের কথা এনেছেন, আমরা কি ধরে নিতে পারি আপনি নিজে একজন বইপোকা?
বিনোদ ঘোষালঃ হ্যাঁ। না পড়লে লিখব কী করে? সব আইডিয়া তো আর জীবন থেকে আসে না। বই থেকেও আসে। সুতরাং পড়তে তো হয়ই। নির্বিচারে পড়ি।
বইপোকাঃ প্রিয় লেখক?
বিনোদ ঘোষালঃ অনেকেই রয়েছেন তবে যাদের গুরু বলে মানি তাদের মধ্যে সদত হসন মান্টো, 
সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, আল মামুদ, মতি নন্দী।
বইপোকাঃ প্রিয় বই?
বিনোদ ঘোষালঃ বই আমার কাছে একটি প্রিয় শব্দ।
বইপোকাঃ বই নিয়ে থাকা কোন অবসেশন?
বিনোদ ঘোষালঃ রাত্রে ঘুমোনোর সময় আমার বাঁ পাশে বউ থাকে আর বালিশের নিচে কোনও একটা বই।
বইপোকাঃ লিখতে বসে লেখার ফ্লো না এলে কি করেন?
বিনোদ ঘোষালঃ ফেসবুক করি। ফোনে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করি। সিনেমা দেখি।
বইপোকাঃ পাঠক এবং নতুন লেখকদের কোনও পরামর্শ দিতে চাইবেন?
বিনোদ ঘোষালঃ পাঠকদের আর কী পরামর্শ দেব! শুধু বলব নতুনদের বইও কিনে দেখুন। আর নতুন লেখকদের বলব নিজের লেখাটা লিখে যাও। নিজের গলায় নিজের স্বরই মানায়, তাহলেই লোকে শুনবে। আমি যদি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্টাইলে কথা বলতে যাই তাহলে লোকে হাসবে। আর যা বিশ্বাস কর তাই লেখো। অবিশ্বাস থেকে লেখা আসে না।
বইপোকাঃ এখন কি লিখছেন?
বিনোদ ঘোষালঃ পূজো সংখ্যার জন্য গল্প।

বইপোকাঃ ‘বইপোকা’র মত গ্রুপ নিয়ে কি বলবেন? এখন অনেক সাহিত্যপ্রেমী, লেখক, লেখিকারাও সমীহ করেন এই গ্রুপকে। এই যুগে বেশি বই কেউ পড়েনা এই অপবাদের দেওয়াল কি ‘বইপোকা’ ভাঙছে মনে করেন?
বিনোদ ঘোষালঃ যারা সোসালসাইটের শুধু নিন্দে করেন তাদের এটাও দেখা উচিত যে বইপোকার (https://www.facebook.com/groups/boipoka.writers/) মতো গ্রুপে বইপ্রেমি তরুন ছেলেমেয়েরা কতকিছু করছে। কতকিছু ভাবছে। এবং তারা সোজাসাপটা কথা চড়া গলায় বলে দিতে পারে। ভন্ডামো করে না। এমন গ্রুপ আরও তৈরি হোক।

বইপোকাঃ আপনার সাথে কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিতে পেরে ভালো লাগছে খুব, কামনা করি নতুন লেখাগুলিও সাফল্যের মুখ দেখুক। ভালো থাকুন,ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------
এই সাক্ষাত্কারটি নিয়েছেন আমাদের সদস্য অভীক মুখার্জ্জী

2 comments:

  1. বিনোদ ঘোষাল এই প্রজন্মের অন্যতম প্রধান গদ্য লেখক। ব্ল্যাক হোক বা হোয়াইট, সে আসলে গল্পটা লিখতে জানে। তবে 'সাহিত্য অকাদেমি' বা 'বাংলা অকাদেমি' না পেলে হয়তো ব্যক্তি বিনোদের ক্ষতি হত কিন্তু তাতে করে তাঁর গল্পের কিছু এসে যেত না। আশা করি আগামী দিনে বিনোদ আমাদের আরও অনেক অসামান্য গল্প পড়ার সুযোগ করে দেবে। অন্য দিকে ছোট মাপের হলেও সাক্ষাৎকারটি মন্দ না। অভীক মুখার্জীকে শুভেচ্ছা।

    ReplyDelete
  2. praner pore uponnyas porar agroho jaglo...poreo felbo khub taratari..

    ReplyDelete